শুক্রবার, ২৭ Jun ২০২৫, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুক্তভাবে লুটপাট!

রাজেকুজ্জামান রতন:
গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষ কী কী চায় তা নির্ধারণ করার চেয়ে কী চায় না তা নির্ধারণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ। দুঃসময় দীর্ঘস্থায়ী হোক সেটা কোনো মানুষ চায় না। আর মানুষের প্রত্যাশা থাকে সুসময়টা দ্রুত আসুক এবং স্থায়ী হোক। সেটা ব্যক্তিজীবনে যেমন, সমাজ জীবনের ক্ষেত্রেও তেমনি। মানুষ বাঁচার চেষ্টা করে একাকী, স্বপ্ন দেখে নিজের মতো করে প্রধানত নিজের জন্য, দুঃখভোগ করে একাই, কিন্তু তা সত্ত্বেও দুঃসময়ের মুখোমুখি হলে সহায়তা প্রত্যাশা করে অন্যের কাছে। সহায়তা না পেলে বলে, কেউ কি নেই এই বিপদে আমার পাশে দাঁড়ায়? সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তেমনি মানুষ ভাবে সমাজে কি প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই? সামাজিক অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে প্রথমেই দলে দলে মানুষ আসে না। অনেক সময় একাকীই দাঁড়াতে হয়, প্রতিবাদের পথে। তারপর পাশে এসে দাঁড়ায় একে একে অনেকে। একাকী মানুষ আর্তনাদ করতে পারে কিন্তু একত্র হলেই গড়ে তোলে আন্দোলন। তেমনি এক আন্দোলন দেখেছে মানুষ জুলাই মাসে আর বিজয় অর্জন করেছিল ৫ আগস্ট।

মানুষের আকাক্সক্ষা দৃশ্যমান না হলেও ক্ষোভের তীব্রতা যে কত ভয়ংকর হতে পারে সেটাও প্রত্যক্ষ করেছে দেশের মানুষ। সরকারি স্থাপনা ও ক্ষমতাসীনদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে অতীতে বহুবার। কিন্তু এবার থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে অনেক, পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশকে, ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতার বাড়িঘর ভেঙেচুরে আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগকে। গত ১৫ বছর যাদের কাছে মাথা নিচু করে ছিল সেই মাস্তানদের ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছে। চারদিকে এত সাহসের ঘটনা ঘটছিল যে, মানুষ ভয় পেতে ভুলে গিয়েছিল। সবচেয়ে বড় ঘটনা, মানুষ ঘেরাও করতে গিয়েছিল গণভবন, প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনে মানুষ তা দখল করে নিয়েছিল। আগুনে পুড়েছে ৩২ নম্বর, ভস্মীভূত হয়েছে অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থান। ভবিষ্যতে মানুষ এসব স্মরণ করবে। সঙ্গে সঙ্গে ভাববে, ক্রোধ কতটা তীব্র হলে মানুষ এসব জ্বালিয়ে দেয়।

সমাজের নানা অংশের মানুষের নানা চাওয়া থাকলেও মানুষ মোটাদাগে যা চেয়েছিল তা হলো দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করো, মানুষের ওপর নানা বাহিনীর নিপীড়ন বন্ধ করো, দ্রব্যমূল্য কমাও আর মানুষকে নিয়ে উপহাস এবং তামাশা বন্ধ করো। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আর ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সব চাওয়া কেন্দ্রীভূত হয়েছিল এই দাবিতে যে, ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান চাই, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চাই। জনগণের কাছে জবাবদিহির দায় না থাকায় টাকা, পেশিশক্তি আর রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে সংসদে একদল ‘মানি মেকার’ এবং ‘রুল ব্রেকার’ তৈরি হয়েছিল। নির্বাচিত বা অনির্বাচিত উভয়ক্ষেত্রেই ভিন্নমত দমন করে তৈরি হয়েছে একদলীয় নিপীড়নমূলক শাসনব্যবস্থা। সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত হলেও রাষ্ট্রের তিন বিভাগের (সংসদ, নির্বাহী ও বিচার) মধ্যে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স না থাকায় ক্ষমতার পৃথককরণের অনুপস্থিতি ঘটেছে। সব ক্ষমতা হয়ে গিয়েছিল এক ব্যক্তিতে কেন্দ্রীভূত। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা হয়ে গিয়েছিল দলীয় কর্মচারী বা সরকারি কর্মকর্তা। জনগণের সার্বভৌমত্ব লেখা ছিল সংবিধানের পাতায়, নাগরিক অধিকার ছিল দূরের ছায়ার মতো। মেগা প্রকল্পের মেগা দুর্নীতির দায় বহন করেছে মানুষ। কিন্তু প্রশ্ন করার অধিকার ছিল না যে, কেন এই প্রকল্প, কার জন্য প্রকল্প আর কত খরচের প্রকল্প? ক্ষুব্ধ জনগণ জানতে চেয়েছে, তাদের ট্যাক্সের অর্থের হিসাব, নজরদারি ও জবাবদিহি কি থাকবে না? কিন্তু উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্রের কণ্ঠরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তখন। সংবিধানে একের পর এক সংশোধনীর মাধ্যমে কাটাছেঁড়া করে রক্তাক্ত করা হয়েছে আর গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিসর কমেছে। শাসকদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে, কিন্তু ‘জনগণের ইচ্ছা অথবা রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সামাজিক চুক্তি (সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট) দিন দিন দুর্বল হয়েছে। সংবিধানে যা লিখিত আছে তা না মানা আর যা লিখিত নেই সেই কাজ করা যেন ক্ষমতাসীনদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, আয়না ঘরে নির্যাতন, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভূত সম্পদ অর্জন, বিদেশে টাকা পাচার কোনোটাই সংবিধানসম্মত ছিল না। কিন্তু সংবিধান এসব থেকে ক্ষমতাসীনদের নিবৃত রাখতে পারেনি।

ক্ষমতা ছাড়তে না চাওয়া যেন ক্ষমতাসীন দলের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রের ব্যাপারে মাথা না ঘামালেও পুঁজিপতিরা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। কিন্তু এক দলের শাসনের ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও বিনষ্ট করে ফেলেছে। সরকার ও রাষ্ট্র একাকার হয়ে সঙ্গে নাগরিকের সামাজিক চুক্তিকে উপহাসের বিষয়ে পরিণত করে ফেলেছে। বঞ্চনা, অনিশ্চয়তা আর অপমান মানুষের ক্ষোভের তীব্রতা বাড়িয়েছে। ফলে গণ-অভ্যুত্থান ছিল ক্ষমতাসীনদের নিপীড়ন থেকে মুক্তির ‘সামাজিক সম্মতি’। বৈষম্যবিরোধী এই চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের মৌল ভিত্তি তথা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ঘোষণার সঙ্গে ছিল সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ। জনগণ দেখেছে, ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আর জনগণের সঙ্গে করেছে প্রতারণা। ফলে মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ আকাক্সক্ষা ২০২৪-এর আন্দোলনে নতুন করে জেগে উঠেছে। যার প্রকাশ ঘটেছে গ্রাফিতিতে, দেয়ালে দেয়ালে আর মাথায় বাঁধা জাতীয় পতাকায়। অর্থনীতিতে ‘লুণ্ঠন’ দেশকে সর্বনাশের কিনারায় নিয়ে এসেছিল। অর্থনীতির সব সূচকের অবনতি ঘটছিল দ্রুতহারে। দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির সঙ্গে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরির ফারাক বেড়েই চলছে। মূল্যবৃদ্ধির কশাঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচের পরিবার শুধু নয়, নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবন ছিল পর্যুদস্ত। অন্যদিকে বৈষম্যের জাঁতাকলে অধিকাংশ মানুষ জর্জরিত। নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্য-মধ্যবিত্ত জনতার কর্মসংস্থানে, আয় ও সঞ্চয়ে বড় ধরনের আঘাত পড়েছে। বেকারত্ব যুবকদের জীবনকে অনিশ্চিত ও বেপরোয়া করে তুলেছিল। সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে ভাঙন ধরিয়ে বিপুল সংখ্যক মধ্যবিত্তকে দরিদ্রের কাতারে নামিয়ে এনেছিল। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও তার সুফল কৃষক পায় না, পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। কৃষকের ‘দিন আনি দিন খাই’ বা ‘ঋণ’ করেই জীবনযাপন করতে হতো। মানুষের হাতে নগদ টাকায় টান পড়েছে। আর দেশি-বিদেশি ঋণে জর্জরিত সরকার তার দায় চাপিয়ে দিয়েছিল জনগণের কাঁধে। অসম শর্তে ঋণ আর তার শর্তের জালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বৃদ্ধি মানুষের জীবনে সংকটকে বাড়িয়ে তুলেছিল। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ও সরবরাহে টান পড়েছিল, বাজারে দেখা দিয়েছিল তারল্য সংকট। বিলাসিতা আর বিপন্ন দশার এক অদ্ভুত সহাবস্থান তৈরি হয়েছিল। রাজনৈতিক দমন-পীড়নে অর্থনৈতিক সংকট কাটানো যে যায় না তা স্পষ্ট হয়েছিল দিনে দিনে। তাই সব সমস্যার ফলে সৃষ্ট ক্ষোভ সরকারের বিরুদ্ধে এবং সরকারের পদত্যাগকে অনিবার্য করে তুলেছিল। কিন্তু এত ক্ষমতা মদমত্ত সরকার তার সব সাঙ্গপাঙ্গসহ দেশত্যাগ করবে এতটা ভাবা যায়নি। এখন প্রশ্ন, ব্যক্তি পালালেই কি ব্যবস্থা পালায়? পলাতকার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করে মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করা যাবে না। প্রত্যাশা পূরণে তিন মাস যথেষ্ট সময় নয় কিন্তু শুরু করার জন্য একেবারে কম সময়ও নয়। মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলাকে স্বস্তিদায়ক করা আর মানুষের মনে ভরসা দেওয়া যে তাদের পাশে সরকার আছে, এটা এই মুহূর্তের কাজ। অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্তর্র্বর্তী সরকারকে একটি কর্মপরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রণয়ন করে যত দ্রুত সম্ভব দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন করার ব্যবস্থা করতে হবে। গত সরকারের আমলে যে অত্যাচার, অনাচার, দুর্নীতি হয়েছে তার বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হওয়ার পরে ও প্রয়োজনীয় আইন করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশ ফাসিস্ট শাসন থেকে গণতান্ত্রিক সরকারের পথে একটি নতুন যাত্রা শুরু করবে। রাষ্ট্রকাঠামোর পুঞ্জীভূত জঞ্জাল এত দ্রুত সরানো যাবে না এ-কথা ঠিক। এই জঞ্জাল সরানোর জন্য এবং ভবিষ্যতে যাতে ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা না যায়, ক্ষমতা কাঠামোর সব স্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত থাকে, সে জন্য সংবিধানে কিছু সংশোধনী অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বিশাল কাজের ফিরিস্তি তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করা যেমন সন্দেহ তৈরি করবে তেমনি সমাজে অস্থিরতার জন্মও দেবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যেও দমনমূলক মানসিকতার জন্ম দিতে পারে। যা বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি করবে।

ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি তিন মাসেও, ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয়নি। বকেয়া মজুরি আদায়ের জন্য শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, দখলবাজির হাতবদল হয়েছে, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির ঘটনা ঘটছে, বিজয়ী হয়েছি এই মনোভাব থেকে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে এগুলো ভালো দৃষ্টান্ত নয়। মানুষ আশা করে, এই সরকার জনগণের পক্ষে থাকবে, শ্রমিকের ওপর দমন-পীড়ন চালাবে না, কৃষকের পাশে থাকবে, সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষা করবে। মানুষের প্রত্যাশা যেন মার না খায় এই দায়বোধ থেকে জনগণের ন্যূনতম চাওয়া পূরণে দেরি করা চলবে না। সব সংস্কার শেষে নির্বাচন নাকি একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য ন্যূনতম সংস্কার, এই নিয়ে বিতর্ক চলছে। কিন্তু মানুষের কাছে প্রয়োজন তার জীবনকে সহজ করা। চাল, সবজিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে। বাজারে মোটা চালের কেজি ৫৫ টাকা, সরু চাল ৮০ টাকা। ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১৪৪ টাকা ডজন কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকার বেশি দামে। ওষুধের দামে কোনো লাগাম নেই। মানুষের প্রশ্ন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন? অক্টোবর মাসে সরকারি হিসাবেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৬৬ শতাংশ। মানুষ রাষ্ট্রের সংস্কার চায় কিন্তু তার সঙ্গে সংসারও চালাতে চায়। দ্রব্যমূল্যের আঘাত আর বাজার সন্ত্রাস থেকে রেহাই চায়। মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে মুক্তভাবে লুটপাট চায় না। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা, সন্তানের শিক্ষা আর কাজ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা আর সম্মানের সঙ্গে বাঁচা সাধারণ মানুষের এই ন্যূনতম চাওয়াগুলো সংস্কারের বড় বড় কথার আড়ালে যেন হারিয়ে না যায়।

লেখক: রাজনৈতিক সংগঠক ও কলাম লেখক

rratan.spb@gmail.com

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION